এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
গান প্রসঙ্গে : ‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ/ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটিই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় বরণডালা। প্রতিবছর যখন সময়ের চক্রাকারে পহেলা বৈশাখ আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয় তখন চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে এই গানটি সবার মুখে মুখে বেজে ওঠে। এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেন – ২০ এ ফাল্গুন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ (৪ মার্চ, ১৯২৭ সালে)। শুধু গানটি রচনাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই গানটিতে সুর দিয়েছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া সেই সুরেই আজও পহেলা বৈশাখে বেজে ওঠে ‘আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ/ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥’