আমাদের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। দুঃখের কথা হচ্ছে আমাদের এই নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আজ বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভেতর দিয়ে একটা দেশের নিজস্ব ইতিহাস, মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের ধরন উল্টা-পাল্টা করে দেওয়া হয়। অস্পষ্ট করে তোলা হয় তার আত্মপরিচয়।
পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে পিতা-পুত্রে সম্পর্ক বলে কিছু নেই৷ মাতা-কন্যার সম্পর্ক বলে কিছু নেই৷ এমনও অনেক দেশ আছে যারা জানেই না তাদের পারিবারিক পরিচয় কী কিংবা পারবারিক পরিচয়ের ভিত্তি কী? কে তার আসল বাবা? সেই অধপতনের জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখনো তাদের তুলনায় হাজারগুণ সভ্য একটি জাতি। আমাদের কাছে সকল কিছুর উর্ধ্বে আমাদের পরিবার, দাদা-দাদী,নানা-নানী,মা-বাবা,ভাই-বোন,কিন্তু এর বাইরে-ভেতরে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে আমাদের মাঝে আগের সেই হৃদ্যতার সম্পর্ক নেই, গত হয়েছে পারিবারিক আচার-আচরণ, ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি থেকে আমরা অনেক দূরে স্বরে গিয়েছি আধুনিকতার সবক নিয়ে।
মুসলিম জাতির শুরু হয়েছিলো আরবি শব্দ ‘ইক্বরা ’ অর্থাৎ পড়ো শব্দের হাত ধরে। কিন্তু আমরা আজ পড়ে আছি জাহেলিয়াতের যুগে, অন্ধকার আমাদের অধিক প্রিয় আজ। ইলাহ আমাদের দিয়েছিলেন আলোর মশাল কিন্তু আমরা গ্রহণ করেছি অন্ধকার।
বাইরের জ্ঞানকে গ্রহণ না করে মূর্খতাকে গ্রহণ করেছি আধুনিকতার সবক নিয়ে…. বিলিয়ে দিয়েছি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি অপর সংস্কৃতি গ্রহণ করার মাধ্যমে।
বর্তমান মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলার সংস্কৃতিকে একেকজন একেক চোখ দিয়ে উপভোগ করে। এতে দোষেরও কিছু নেই। তবে যেখান থেকে মানববৈকল্যের শুরু হয়েছে তা আমাদের মুসলিম সমাজকে খুব বেশি আক্রান্ত করছে দিনকে-দিন। পরিবার কেন্দ্রিক নানান সমস্যা নিয়ে আমরা রোজ দেখি মিডিয়াতে তোল-কালাম অবস্হা, সাংসারিক ঝামেলা,স্বামীর নৈতিক অধঃপতন, স্ত্রীর পরকীয়া আরো নানান ঝামেলায় জর্জরিত আমাদের মুসলিম সমাজ।
মিডিয়ার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত৷ বর্তমান দুনিয়ার ঘরে-ঘরে রয়েছে টেলিভিশন। অল্প সময়ের মধ্যে মুসলমানদের ঘরে-ঘরে পৌঁছে যাওয়ার কারণে ফিল্ম,নাটক, বিশেষত হিন্দু সিরিয়ালের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে তৈরী হচ্ছে হিন্দুয়ানী মুসলিম-সুশীল সমাজ। বলা যায় এসব নিয়ন্ত্রণে আনা এখন প্রায় অসম্ভব ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মিডিয়া কোনোদিনই মুসলিমদের সত্যতা তুলে ধরতে কাজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও তারা মুসলিমদের সত্যতা নিয়ে কাজ করবে না। ইতিহাস তাই বলে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে সুইজারল্যান্ডের বাজিল নগরীতে অস্ট্রেলিয়ার দুর্ধর্ষ ইহুদী সাংবাদিক ড. থিওডর হার্জেলের নেতৃত্বে বিশ্ব ইহুদী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে তারা গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও সুপরিকল্পিত নীলনকশা প্রণয়ন করে। তারা সকলে একমত হয় যে, বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে হ’লে প্রথমত দুনিয়ার সকল স্বর্ণভান্ডার আয়ত্ত করতে হবে এবং সুদী অর্থ ব্যবস্থার জাল বিস্তার করে পৃথিবীর সকল পুঁজি তাদের হস্তগত করতে হবে। এরপর তারা স্থির সিদ্ধান্ত নেয় যে, আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যম যেন তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যে চলে আসে এবং মিডিয়ার সাহায্যে দুনিয়াবাসীর মগজধোলাই প্রক্রিয়া শুরু করে তারা তাদের কাংখিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে। সংবাদমাধ্যম তথা সকল প্রচার মাধ্যমের অসাধারণ গুরুত্ব, প্রভাব ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ড. থিওডর বলেন, ‘আমরা ইহুদীরা পুরো বিশ্বকে শোষণের পূর্বশর্ত হিসাবে পৃথিবীর সকল পুঁজি হস্তগত করাকে প্রধান কর্তব্য বলে মনে করি। তবে প্রচার মিডিয়া আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দ্বিতীয় প্রধান ভূমিকা পালন করবে। আমাদের শত্রুদের পক্ষ হ’তে এমন কোন শক্তিশালী সংবাদ প্রচার প্রতিষ্ঠা হতে দেব না, যার মাধ্যমে তাদের মতামত জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারে।’
মুসলমানদের এখন প্রধান শত্রু এই মিডিয়া। যৌনতায় ভরপুর সিরিয়াল নাটক। হিন্দু সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার এক মহাষড়যন্ত্র চলছে এই বাংলায়। আমরা এবার দেখবো কী কী মূল্যবান সম্পদ আমরা হারাচ্ছি এই মিডিয়া এবং টিভি সিয়িয়াল দেখে —
১. আকিদাগত ক্ষতি :
ক. মিথ্যা,কল্পকাহিনী, কুসংস্কার, জাদু,ভেলকি, ভবিষ্যদ্বাণী করা, ভাগ্য গণনা করা, তাওহিদের সাথে সাংঘর্ষিক ইত্যাদি বিষয়ে প্রসার করা হয়। ফিল্ম,নাটক,সিরিয়াল দেখানো এটিই মূলত উদ্দেশ্য।
খ. আল্লাহর শত্রুদের সাথে বারাআতে ( সম্পর্কহীনতার) অনুভূতিকে দর্শকদের অন্তর থেকে বের করে ফেলে কাফির ও তাদের সমাজকে মহান করে ফুটিয়ে তোলা হয়। ফলে এসব দেখে মুসলিম সমাজ মুগ্ধ হয়ে উঠে। ভুলে যায় সমগ্র পৃথিবীর সত্যিকারের বীরের কথা। চলতে থাকে তাদের মতো হওয়ার শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ।
গ. আমাদেরকে তাদের চোখ দিয়ে দেখাতে চায় পৃথিবী। তাদের মতো করে ভাবাতে চায়। যেন আমরা তাওহীদের পথ থেকে দূরে স্বরে যাই।
২. সামাজিক অবক্ষয় :
ক). এগুলোর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৈরী হয় দ্বন্দ্বের দেয়াল। তারা একে অপরকে ঘৃণার চোখে দেখে। তাদের সাংস্কৃতিক গোলামরুপে দাসত্বকে স্বীকার করে আমরা আমাদের সামাজিক সংস্কৃতির মূল থেকে স্বরে যাই। তৈরী হয় মুসলিম সমাজের পতনকাল।
খ). সিরিয়ালগুলোতে এতো এতো ঝগড়া ফাসাদ দেখতে দেখতে মুসলিম পরিবারগুলোর মাঝেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত। আমরাও হয়ে উঠছি সেই সিরিয়ালের ভিলেন চরিত্রের মানুষ। এর প্রভাব পড়ছে মুসলিম সমাজে।
গ). সিরিয়ালগুলোতে অবাধ মেলা-মেশাকে দেখানো হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যপার হিসেবে। এখানেই তৈরী হচ্ছে চিন্তাগত ব্যবধান। মুসলিম সমাজ,মুসলিম পরিবার তাদের ধর্মীয় নীতির সাথে মিলাতে গিয়ে তৈরী হচ্ছে ধর্মের প্রতি অনীহা, কারণ তার মগজ এখন তাদের দখলে।
৩. ইতিহাসের বিকৃতি সাধন :
ক). ইতিহাসনির্ভর সিনেমাগুলোতে ইসলামি ইতিহাস বিকৃতি,প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল এবং মুসলমানদের অবস্থান ও অবদানকে খাটো করে প্রকাশ করে৷
খ). মহান মুসলিম বীর ও সিংহপুরুষদের চরিত্রকে অবমানননাকর অবস্হায় নিয়ে আসা হয়। গতানুগতিক চরিত্রে বিজয়ী সেনাপতিদের প্রকাশ করা হয় মানুষের সামনে। তাদেরকে পৃথিবীর সামনে জঙ্গি প্রমাণ করার এক আপ্রাণ লড়াই করে যায়৷ আর আমরা এগুলো দেদারসে অপলকভাবে প্রতিনিয়তই দেখে যাচ্ছি।
গ). মুসলমানদের পরাজিত মানসিকতার জাতাঁকলে পিষ্ট করা ও তাদের অন্তরে ভয়-ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এসব সিনেমায়। তাদের অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হয় এবং মুসলমানদের মনে এই ধারণা দেওয়া হয় যে —মুসলমানরা কখনো মুশরেক জাতিকে পরাজিত করতে পারবে না। আমাদের মন -মানসিকতাও এমন হয়ে যাচ্ছে।
৪. অন্যান্য ক্ষতি :
আমরা কখনো বুঝে উঠতে পারি না টিভি সিরিয়াল কিংবা মিডিয়া আমাদের ঠিক কোন কোন জায়গায় ক্ষতি সাধন করছে৷ টিভি সিরিয়াল এবং মিডিয়ার আগ্রাসনের ফলে মুসলিম পরিবারের সদস্যদের আত্মিক অবক্ষয় হচ্ছে। খুনো-খুনি, রক্তপাত, গোলাগোলি বা শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের দৃশ্য দেখার ফলে অন্তর শক্ত হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভার আমাদের পরিবারগুলোর উপর পড়ছে। শুধুই কী আত্মিক অবক্ষয় হচ্ছে মুসলিম সমাজে? এর উত্তর হলো না। আমাদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও হচ্ছে। আমাদের চোখের ক্ষতি হচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চস্নায়বিক উত্তেজনার সম্মাখীন হতে হচ্ছে তা কী স্বাস্থ্যগত ক্ষতি নয়? এছাড়াও আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
সুতরাং আমাদেরকে বুঝতে হবে আমরা ঠিক কোন সময়ে আছি, আমাদেরকে বিশ্ব ঠিক কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে! এর থেকে মুক্তির পথ আমাদেরকেই বের করতে হবে। তা না হলে আমাদের মুক্তি অনিশ্চিত। কবি আসাদ বিন হাফিজ বলেছেন — “সাংস্কৃতিক গোলামীর আগমন ঘটে অত্যন্ত ধীর গতিতে এবং এ গোলামীর শিকল ছিন্ন করার জন্যও প্রয়োজন হয় এক দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের। মূলত এ শিকল একবার কোনো জাতির গলায় আটকে গেলে তা ছিন্ন করার বড় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়”।
আমাদের দেশে পশ্চিমাদের মতো কিছু উচ্চ শিক্ষিত লোক আছে যারা ভাই-বোন, পিতা-মাতা, স্ত্রী-পুত্র সহকারে একত্রে স্যাটেলাইট দেখে। কোন চলচ্চিত্রে একটি মেয়ে বস্ত্রহীন হয়ে নাচে অথবা কোন মেয়েকে ধর্ষণ করার দৃশ্য রয়েছে, এ রকম ছবি দেখাকে তারা ‘ফ্রি মাইন্ড’ মনে করে। অথচ যে দেশের মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় সন্তান বিক্রি করে, হালের বলদের অভাবে মানুষ কাঁধে জোয়াল টানে, সে দেশে চার্লস ডায়নার বিয়ের ছবি এবং পার্শ্ববর্তী দেশের নায়ক-নায়িকার বিয়ের খবর এক সপ্তাহ ধরে ছাপা হয়। আরেকশ্রেণীর বিলাসপ্রিয় মানুষ ডিসএনিটনার সাহায্যে বিছানায় শুয়ে শুয়ে আলো-ঝলমল পৃথিবীর সভ্যতা বিবর্জিত রঙ্গমঞ্চ প্রত্যক্ষ করে চলছে বিবেকহীনভাবে।
পশ্চিমের মানুষেরা নিজের বোধ-বুদ্ধিকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রচারযন্ত্রের নাচের পুতুলে পরিণত হয়েছে। প্রচারযন্ত্রের প্রচারণার নিরিখেই তারা জীবনের সবকিছু মাপতে চায়। তারা বুঝতে চায় কে কতখানি উন্নত বা অনুন্নত। প্রচারযন্ত্রই সাম্রাজ্যিক স্বার্থে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে রেখেছে, অপশ্চিমা বিশ্বের মানুষেরা নিজেদের ভাল-মন্দ বুঝতে পারে না। সুতরাং এদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পশ্চিমের উন্নত মানুষদের সহায়তা জরূরী।
আজকে বৃটেন, আমেরিকাসহ তাদের অন্যান্য দোসররা ইসলামী সন্ত্রাসবাদ ও মুসলিম চরমপন্থী নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিশ্বকে তা বিশ্বাসও করাতে চাচ্ছে। প্রচারণার এই ধরনটা চিরকাল একই রকম। হয় আমাদের সঙ্গে থাক, না হ’লে ভাগাড়ে গিয়ে মরো। পেনটাগন, হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেনেটর পছন্দসই হ’লে টিকবে, নইলে ধ্বংস হয়ে যাবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী, মতাদর্শিক যোদ্ধা এতে কিছু আসে যায় না। আমেরিকার জিঘাংসার বিরুদ্ধে, ক্যাপিটালিজমের বিরুদ্ধে, বিশ্বায়ন-বাজার অর্থনীতির বিরুদ্ধে যে-ই দাঁড়াবে, মোকাবিলা করার কথা বলবে, সে-ই রাতারাতি সভ্যতার শত্রু, জঙ্গী, বর্বর, সন্ত্রাসী বনে যাবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, মুসলিম রাষ্ট্র ও জনগণ আজও পাশ্চাত্যের পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার উপর ভয়ানকভাবে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে মুসলিম জনগণের অবস্থানকে প্রতিনিয়ত দুর্বল করে দিচ্ছে। পুঁজিপতি মিডিয়াগুলোর অবিরত প্রচারণা মুসলিম জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাদের মধ্যে নৈরাজ্য উৎপাদন করে। এসবের ফলে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ধারণাগুলোর বিলুপ্তি ঘটে। এগুলো ধীরে ধীরে ভিনদেশী ধারণা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
“ইবনে খালদুন ‘আল মুকাদ্দিমা ’ গ্রন্হে ‘উমরান’ তত্তে দেখিয়েছেন সমাজ তার নিজস্ব গতিতে বিকশিত হবে। প্রযুক্তি নির্ভর আজকের বিশ্ব সে বিকশিত সমাজেরই স্বরুপ কিন্তু মুসলিম মনীষী বিশেষত বর্তমান নেতৃত্ব বিকাশমান সমাজও রাষ্ট্র ব্যবস্হার সাথে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে । ফলে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক বিবর্তন, সকল ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘পশ্চমা’রা’। মুসলিমবিশ্ব তাদের সর্বমুখী আগ্রাসনের শিকার ”
ইতাঙ্গীর খন্দকার
শিক্ষার্থী:ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।