১.
চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ
চির দুর্জয় তুমি বাংলাদেশ।
চির অক্ষয় তুমি চির দুর্জয়
চির নির্ভয় তুমি বাংলাদেশ।।
মিষ্টি-মধুর বোলে
তোমার স্নেহের কোলে
গড়ে তুলে মমতার বন্ধন
বুকে টেনে নিলে ডেকে
আপন আঁচলে ঢেকে
মুছে দিলে হতাশার ক্রন্দন।
জ্বেলে দিলে অন্তরে
তুমি চির সত্যের সঞ্চয়-
অক্ষয় অক্ষয়
চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ।
লক্ষ প্রাণের দামে
হে দেশ তোমার নামে
পতাকাতে সূর্যটা ভাম্বর
ফিরে এলো আলো জ্বেলে
তোমার দামাল ছেলে
বুকে নিয়ে চেতনার স্বাক্ষর।
পৃথিবীর প্রান্তরে
হলে চির জাগ্রত বিস্ময়-
অক্ষয়-অক্ষয়
চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ।।
২.
কত হাজার বছর ধরে
এই পথে আর প্রান্তরে
গান শুনিয়ে ধন্য হলো
বাউল মন আমার।
কত বার যে বর্গী এলো
কত কী হারিয়ে গেলো
কত বিষে নীল হলো এই
গানের অলঙ্কার।।
এই মাটির-ই গন্ধে রসে
এই মানুষের প্রাণ পরশে
দুঃখ সুখে আমার গানের
নিত্য অভিসার।।
যাক মনিহার রত্ন সোনা
প্রাণ গেলেও গানদেবো না
স্বপ্ন সাধের এ গান আমার
সত্য অধিকার।।
৩.
মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল
বাংলাদেশের বুক এতোই বিশাল
এখানে মানুষ জাগে জীবনের অনুরাগে
পূবের আকাশে আসে নতুন সকাল।।
চাষির খুশির গানে
সোনা রঙ ধানে ধানে
ভরে ওঠে পল্লীর বুক
মাঝির দাঁড়ের টানে
নদী বলে কলোতানে
সাগর যেতে সে উৎসুখ।
জেলের খুশির রঙে রুপালি ইলিশ
যেখানে ভরিয়ে তোলে প্রসন্ন জাল।।
কবির প্রাণের কথা
সুরে পায় মুখরতা
জেগে ওঠে শিল্পীর মন
ঘোচায় সকল ব্যথা
প্রাণ-প্রিয় স্বাধীনতা
মনে মনে গড়ে বন্ধন।
নতুন শতাব্দীকে সোনালি স্বদেশ
শোনাবে এসব কথা অনন্তকাল।।