১.
একজন মানুষ মুক্তিফল আনতে গিয়েছিল
সে বলেছিল, আমি ফিরে আসবো প্রতীক্ষায় থেকো। ( কবিতা– মুক্তি)
২.
কবি কত মানুষের মুখের দিকে চেয়ে খুঁজছিলেন একটি মানুষ। (কবিতা–কবির মৃত্যু)
৩.
আমার নিজস্ব শূন্যতা একটা মালা হয়ে দুলছে। কবিতা– মালা)
৪.
শূন্যতাকে গ্রাস করেছে শূন্যতা, ঝিমঝিম করছে স্তব্ধতা।
(কবিতা– সীমান্ত কাহিনী)
৫.
ভবিষ্যতের ঐতিহাসিকদের জন্য নয়, উম্মাদ জল্লাদদের জন্যও নয়, শুধু আগামী শতাব্দীর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া এই সামান্য দীর্ঘশ্বাস, মানুষকে ভালোবাসা ছাড়া মানুষের আর কোন ধর্মই থাকেনা।
কবিতা– হায়, ধর্ম!)
৬.
মায়ের হাতে কোন জীবাণু লাগে না তিনি সেটা তুলে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন নদীর জলে।
(কবিতা– সাঁজোয়া গাড়ির সামনের দিকে)
৭.
এলোমেলো বাতাসে ঘুরছে আমার না-লেখা কবিতা।
(কবিতা-আমাকে যেতে হবে)
৮.
শ্মশানে একটাও চিতা জ্বলছে না
গ্রামটির স্বাস্থ্য ভালো আছে।
(কবিতা– সবই আছে)
৯.
সমস্ত পতন তুচ্ছ করে
উঠে এসো…।
কবিতা– ধ্যানী)
১০.
কত দূরে বেড়াতে গেলুম, আর একটু দূরেই ছিল স্বর্গ
দুই মিনিটের জন্য দেখা হলো না।
(কবিতা– স্বর্গের কাছে)
১১.
কাব্যের সপত্নী তুমি, তুমি তাকে চাও না অন্তরে
সে তবু আমার মনে তোমার স্বপ্নের মূর্তি গড়ে।
(কবিতা–সপত্নী)