১.
মুখ বলছে চলে যাও, চোখ বলছে থাকো,
দুটি কূল ঠিকই আছে, ভাঙা শুধু সাঁকো।
২.
ব্যর্থতা শিল্পীর পুরস্কার, আর নৈরাশ্য মুকুট,
মৃতপ্রায় গাছটিও চায়, শেষ ফুলটি ফুটুক।
৩.
জীবন এত ছোট যে, তোমার চলে যাওয়ার
দিকে তাকিয়েই এটা পার করে দেওয়া যায়।
৪.
এই দুনিয়া অনেক বড়, কিন্তু আমার কতখানি?
ঘরপালানো ছেঁড়া জুতা আমি ফেরার দুঃখ জানি।
৫.
আমিও চরিত্র এক অন্য কারো গানে,
কতটুকু গাওয়া হবে শিল্পী শুধু জানে।
৬.
একটাই গান, দশজন গায়, দশরকমের সুরে,
কলঙ্ক এই গায়ে দিয়ে চাঁদ চলে গেছে বহুদূরে।
৭.
পুরোনো সূর্য উঠবে আবার নতুন আরেক বৎসরে,
গাধার রাজ্যে ঘোড়ার সনদ দিতেই থাকবে খচ্চরে।
৮.
মৃত্যু ছাড়া মানুষের একান্ত নিজের কিছু নেই,
জীবন অন্যরা ভাগ করে নেয়, খুব প্রকাশ্যেই।
৯.
তীব্র ঢেউয়ের মতো তুমি একবার এসে তীরে
পাথর-ভাঙার চিহ্ন রেখে চিরতরে গেছ ফিরে।
১০.
পাখি তো আগেই গেছে, দূরে চলে যাচ্ছে তার ডাকও
সবাই আমাকে ছেড়ে গেলেও কবিতা তুমি থাকো।
সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি: ইমতিয়াজ মাহমুদের জন্ম ১৯৮০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিতে এক বছর কাজ করার পর ২০০৬ সাল থেকে সিভিল সার্ভিসে কর্মরত তিনি। ইমতিয়াজ মাহমুদের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় পাক্ষিক শৈলী পত্রিকায় ১৯৯৯ সালে। পেন্টাকল বইয়ের জন্য তিনি কলকাতা থেকে পেয়েছেন কৃত্তিবাস পুরস্কার। তার উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থ হলো ‘অন্ধকারের রোদ্দুরে’ [২০০০], ‘মৃত্যুর জন্মদাতা’ [২০০২], ‘মানুষ দেখতে কেমন’ [২০১০], ‘পেন্টাকল’ [২০১৫], ‘কালো কৌতুক’ [২০১৭], ‘গন্দমফুল’ [২০১৯]।